২২ জানুয়ারি ঘরে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের কারণে ঘরে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঘরে। আগুনের তাপেই ঘুম ভাঙে। ছোট সন্তান ও স্ত্রীসহ কোনোভাবে জীবন নিয়ে ঘর থেকে ফিরলেও আগুনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি কোনোকিছুই।
কথাগুলো বলছিলেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সাহিকোলা গ্রামের কাফি প্রামাণিক। ভুক্তভোগী ৪৫ বছর বয়সী মো. কাফি প্রামাণিক পেশায় একজন কৃষক। বর্গাচাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর এ আয় দিয়েই কোনোরকমে চলতো চারজনের সংসার। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে রাত কাটানোর শেষ ঠিকানা। এখন জোড়াতালি দেওয়া খোলা আকাশের নিচে তাঁবুর নিচে ঠাঁই হয়েছে কাফির পরিবারের।
কৃষক কাফি বলেন, রোপা আমন মৌসুমে অন্যের জমিতে কাজ করে সারা বছর খাওয়ার জন্য ধান সংগ্রহ করে রেখেছিলেন, তাও পুড়ে যায়। শীতবস্ত্র ও টাকাসহ একটি সংসারে ২০ বছর ধরে সংগৃহীত অবশিষ্ট কিছুই নেই। পুড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে নির্মাণের সামর্থ্য নেই। সহযোগিতা করার মতো কোনো স্বজনও তাদের নেই।
তার দুটি ঘরসহ রক্ষিত খাবার ও শীতের গরম কাপড়-চোপর সবই পুড়ে গেছে। প্রতিবেশীরা কিছু চাল-ডাল ও দুটি কম্বল দিয়েছেন। এ অবস্থায় পুড়ে যাওয়া একটি ঘরের ভিটায় প্লাস্টিকের কয়েকটি বস্তা কেটে সেলাই করে মাথার ওপর ছাউনি দিয়ে দুটি ছোট ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
কলমকথা/সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।